করোনা আবহে বাচ্চাদের মন ভালো রাখার সেরা দশটি উপায়



করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে আমরা আমাদের বাচ্চাদের বাড়িতেই রাখতে বাধ্য হচ্ছি। অথচ এই দীর্ঘ গৃহবন্দী জীবন বাচ্চাদের মনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। বাচ্চাদের মধ্যেও খিটখিটে হওয়া, খিদে কম হওয়া, অনিদ্রা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। সর্বোপরি তারা ভীষণ অসহায় বোধ করছে।

এখানে এমন কিছু উপায় দেওয়া হলো যেগুলো অনুসরণ করলে বাচ্চারা টিভি, মোবাইল, ট্যাব ইত্যাদিতে আসক্ত না হয়ে নিজেদের একটি ভালো কাজে নিয়োজিত রাখতে পারবে ও এর মাধ্যমে তাদের শিশুসত্ত্বার বিকাশ ঘটবে।


  • এই সময় বাচ্চাদের মোম বা জল রঙ কিনে দিয়ে আঁকার জন্য উৎসাহ দিন। যদি সে ড্রইং খাতা ছেড়ে ঘরের মেঝে বা দেওয়াল কে ক্যানভাস বানাতে চায় তো বাধা দেবেন না। প্রয়োজনে সেই রকম রঙ দিন যা সহজেই দেওয়াল থেকে মুছে ফেলা যাবে।

  • বাড়ির বিভিন্ন কাজে বাচ্চার বয়স অনুযায়ী ওকে যুক্ত করুন। যেমন ওর জামাকাপড় গুলো ওকেই গোছাতে বলুন বা আপনি গুছিয়ে দিয়ে ওকে নির্দিষ্ট জায়গাতে রাখতে বলুন। এর সাথে সাথে অবশ্যই ওর কাজের প্রশংসা করতে ভুলবেন না।

  • বাড়িতে বাগান থাকলে বাগান পরিচর্যা বা গার্ডেনিং-এর ছোটখাটো কাজে নিজের সাথে বাচ্চাকেও যুক্ত করুন। বিভিন্ন ফুল, ফল, গাছ ইত্যাদি সম্পর্কে বলুন গল্পচ্ছলে।

  • দিনের কিছুটা সময় অবশ্যই নিয়ম করে পড়তে বসান। সকাল ও সন্ধেবেলা পড়তে বসুক একটি নির্দিষ্ট সময়েই। এতে বাচ্চার মনসংযোগ বাড়বে। পাশাপশি সে মোবাইল বা টিভি থেকেও দূরে থাকবে।

  • বাচ্চার মন ভালো রাখতে হলে নিজেদের ডিপ্রেশন, রাগ, হতাশা ওদের সামনে ভুলেও প্রকাশ করবেন না। এই ব্যাপারে বাড়ির সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

  • বিভিন্ন ছোট ছোট no-flame রেসিপি যেগুলো বানাতে আগুনের প্রয়োজন হয়না যেমন দুধ-কর্ণফ্লেক্স, Fruit Yogurt, ঝালমুড়ি ইত্যাদি বানাতে দিন। অবশ্যই আপনিও সাথে থাকুন।

  • বিভিন্ন ইনডোর গেম, অ্যাক্টিভিটি বুক, পাজলস - এগুলোর সাথে আপনার বাচ্চাকে সময় কাটাতে উৎসাহিত করুন। এগুলি তার বুদ্ধির বিকাশেও সহায়ক হবে।
  • বাচ্চার সাথে বিভিন্ন ভাবে সময় কাটান। নিজের ছেলেবেলার গল্প বলুন, বৃষ্টির দিনে একসাথে বৃষ্টি দেখুন, গল্পের বই পড়ে শোনান।

  • বাচ্চার পছন্দ অনুযায়ী খাবার দিন তবে অবশ্যই স্বাস্থের কথা মাথায় রেখে। বাচ্চাদের খাবারের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি করার জন্যে নানারকম ফুড আর্ট প্রয়োগ করে আকর্ষণীয় করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

  • সর্বোপরি বাচ্চার মন ভালো রাখতে বাচ্চার মনের হদিস রাখুন। যতই ব্যস্ততা থাকুক ওর চাহিদা ও পছন্দ-অপছন্দের দিকে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখুন।






READ MORE

Post a Comment

0 Comments